-JAGO HINDU JAGO-
=[Back 2 Home]=
Rules To Worship Lord Shree Krishna
[কৃষ্ণ পূজার নিয়মাবলী]
আজ আমরা জানব কী ভাবে কৃষ্ণ পূজা করা যায় :
আপনি খুব সাধারণ ভাবে কৃষ্ণ ভগবানের পূজা করতে পারেন
প্রথমেই সবাইকে জন্মাষ্টমীর অনেক শুভেচ্ছা জানাই
জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণ ভগবানের জন্মদিন আনন্দ উৎসবের সাথে পালন করা হয়
এটি ভাদ্র মাসের শুক্ল পক্ষের অষ্টম দিনে পালিত হয়
এবার ২৮ আগস্ট বুধবার জন্মাষ্টমী
কৃষ্ণ ভগবানের পূজা করার সহজ উপায় হচ্ছে গীতা পাঠ করা
এইদিনে অনেকেই উপবাস থাকেন
কিন্তু ভগবান কৃষ্ণের জন্য কেও কেও বিশেষ নিয়মে পুজার্চ্চনা করতে আগ্রহী থাকেন
এই পূজা মন কে শান্তি দেয় এবং নিজের মধ্যে আত্মনিয়োগ করতে সাহায্য করে
খুব সাধারণ ভাবে যে কেও নিচের নিয়ম মেনে কৃষ্ণ ভগবানের পূজা করতে পারেনঃ
১) প্রথমে একটি শান্ত ও কোলাহল মুক্ত স্থান নির্ধারন করতে হবে
২) জায়গাটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে স্নান করতে হবে
৩) ভগবান কৃষ্ণের একটি ছবি/মূর্তির সাথে গণেশ মূর্তিও স্থাপন করতে হবে
৪) পাশে প্রদীপ রাখতে হবে এবং একটি পাত্রে মিষ্টি/ ফল সাজাতে হবে
৫) প্রথমে শ্রী গণেশের প্রার্থনা করতে হবে (ওম শ্রী গণেশায় নমহা)
৬) এরপর কিছুক্ষণ ধ্যান করতে হবে যাতে মন শান্ত হয়
৭) এখন প্রদীপ জ্বালাতে হবে
৮) ভগবান কৃষ্ণের প্রার্থনা করতে হবে(‘ওম নমঃ ভাগবতে বাসুদেবায়’)
৯) এরপর ফুল অর্পন করতে হবে তুলসি পাতা হলে খুব ভাল হয়
ধুপ/আগরবাতি জ্বালাতে হবে
ফুল অর্পন করার সময় ঘন্টা বাজান যেতে পারে
১০) ‘ওম নমঃ ভাগবতে বাসুদেবায়’ উচ্চারন করে যেতে হবে
১১) এরপর ফল/ মিষ্টি অর্পন করতে হবে
প্রার্থনা শেষে কিছুটা জল ছিটিয়ে দিতে হবে
কৃষ্ণ ভগবানের এই মন্ত্র বেশ কয়েকবার মনে মনে উচ্চারন করা যেতে পারে
এরপর ফল/মিষ্টি প্রসাদ হিসাবে সবাইকে দিতে হবেপূজা শেষে ভগবত গীতা পাঠ করতে হবে
ভগবান কৃষ্ণ, ধর্মীয় আচার পদ্ধতির চেয়ে কর্ম করাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন
প্রতিটা মানুষের মধ্যে ভগবান আছেন এই বিচার করে আমাদের কাজ করতে হবে, এটাই কৃষ্ণ ভগবানের প্রতি আমাদের শ্রেষ্ঠ পূজা |
শ্রীকৃষ্ণের বন্দনা ধ্যান ও মন্ত্র
(শ্রীকৃষ্ণের বন্দনা)
১নং :
তং শ্রীমৎ কৃষ্ণ চৈতিন্য দেবং বন্দে জগদ গুরুং
ষস্যানুকল্পয়া স্বাপি মহাদ্ধিং সন্তরেৎ সুখং
শ্রীগোবিন্দং ঘনশ্যামং পীতাম্বর ধরং পরং
শ্রী নন্দ-নন্দনং নৌমি শ্রী গোপী জন বল্লভং
শ্রীরামং রেবতী কান্তং প্রেমানন্দ কলেবরং
রোহিনেয়ৎ ভজের্দ্দেবং কৃষ্ণ ভক্তি প্রদায়কং
গৌরে গৌড়ং জহো ভক্তি ভারং সংন্যস্য যৎ করে
তং বংশীবদনং বন্দে প্রভুং শক্ত্যব তারকং
২নং :
বন্দে বৃন্দাবন-গুরু কৃষ্ণং কমল-লোচনং
বল্লবী-বল্লভং দেবং রাধালিঙ্গিত-বিগ্রহং
মন্ত্রের অর্থ- আমি বৃন্দাবন গুরু কমল লোচন রাধা বল্লভ বা রাধিকা সমন্নিত শ্রীকৃষ্ণকে বন্দনা করি
৩নং :
জয় জয় জগদ গুরু শ্রীকৃষ্ণ চৈতিন্য
যাঁর কৃপা বলে জীব ধরাতলে হয় ধন্য
জয় জয় শ্রীগোবিন্দ পূর্ননন্দ-ধাম
জয় জয় বল রাম, জয় জয় হরে কৃষ্ণ নাম
জয় জয় প্রভু নিত্যানন্দ জাহুবী জীবন
জয় গৌর প্রয় প্রভু শ্রীবংশী বদন
জয় জয় কৃষ্ণ ভক্ত করুণা সাগর
অজ্ঞানান্ধকার নাশ করহ সত্বর
শ্রীকৃষ্ণের পাদপদ্ম হৃদে করি আশ
কৃষ্ণ তত্ত্ব প্রকাশে দীন কৃষ্ণ দাস
(শ্রীকৃষ্ণের ধ্যান)
(ক) বন্দে বৃন্দাবন গুরু কৃষ্ণ কমল লোচনম্
পীতাম্বরং ঘণশ্যামং বনমালা বিভুষিতাম্
শ্যামং শান্তং দ্বিভুজং মুরলী ধরং
রচিতং তিলকং তা রচিতং তিলকং তালে বিভ্রতং মণ্ডলাকৃতিম্
তরুণাদিত্য-সঙ্কাশং-কুণ্ডলাভ্যাং বিরাজিতম্
শ্রীধাম-সুধাম সুবল স্তোক কৃষ্ণার্জ্জুনাবৃতম
গোপী বল্লভ মধ্যস্থং রাধিকা প্রাণ বল্লভম্
(খ) ত্রিভঙ্গ ভঙ্গিমা রুপ বেণু রন্ধ্র কর পল্লাম্
গোপী মণ্ডল মধ্যস্থং শোভিত শ্রীনন্দ নন্দনম্
শ্রীকৃষ্ণের বীজ মন্ত্র ও উপকরণ নিবেদন মন্ত্র-
মূল বীজ মন্ত্র-ক্লীঁ
জপের বীজ মন্ত্র-ক্লীদ কৃর্ষ্ণায় স্বাহা ক্লীঁ কৃষ্ণায় নমঃ
ক্লীঁ কৃষ্ণায় স্বাহা ক্লীঁ কৃষ্ণায় গোবিন্দায় স্বাহা
ক্লীঁ কৃষ্ণায় গোবিন্দায় গোপীজন বল্লভায় স্বাহা বল্লভায় স্বাহা
শ্রী কৃষ্ণের কাম গায়ত্রী-
ওঁ ক্লীঁ (নমঃ ক্লীঁ) কামদেবায় বিদ্মহে পুষ্প বানায় ধীমহি তন্নোহনঙ্গঃ প্রচোদয়াৎ
উপকরণ নিবেদন মন্ত্র- নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় নমঃ (বা স্ব-কৃষ্ণ মন্ত্র)
শ্রীকৃষ্ণ মন্ত্র (বীজ মন্ত্র) ১০৮ বার জপ করিবেন
সপর্পন মন্ত্র- গুহ্যাতি গুহ্য গোপ্তাত্বং গৃহানাস্মৎ কৃতং জপং
সিদ্ধি ভবতু মে দেব ত্বৎ প্রসাদাৎ জনার্দন
একটু জল হস্তে লইয়া-এতং জলং নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় অর্পনমস্তু বলিয়া শ্রীকৃষ্ণের হস্তে দেওয়ার উদ্দেশ্যে জল অর্পন করিবেন
ক্ষমা প্রার্থনা- নমো যদক্ষরং মাত্রাহীনঞ্চ যদ্ ভবেৎ
পূর্ণং ভবতু ত্বং সর্বং ত্বং প্রসাদাৎ জনার্দ্দন
মন্ত্রহীনং ক্রিয়াহীনং ভক্তিহীনং জনার্দ্দন
যৎ পূজিতং ময়াদেব পরিপূর্ণং তদস্তুমে
প্রণাম মন্ত্র স্মরণ করিয়া শ্রীকৃষ্ণকে প্রণাম করিবেন
শ্রীকৃষ্ণের প্রণাম মন্ত্রঃ-
হে কৃষ্ণ করুণা সিন্ধো দীন বন্ধো জগৎ পতে
গোপেশ গোপিকা- কান্ত রাঁধা কান্ত নমোহস্তু তে
শ্রীকৃষ্ণের পূজার্চ্চনার নিয়ম-
ধ্যানানুরুপ মুর্তিতে শ্রীকৃষ্ণের পূজার্চ্চনাদি করিবেন এই শ্রীকৃষ্ণের মূর্ত্তি- দ্বিভুজ, মেঘের ন্যায় শ্যামবর্ণ, ত্রিভঙ্গ অর্থাৎ স্থান ত্রয়ে বক্র অ মোহনা-কৃতি বংশীধারী বন-মালায় সুসজ্জিত
শ্রীকৃষ্ণকে প্রণাম করিবেন পরে শ্রীকৃষ্ণের কাম গায়ত্রী পাঠ করিয়া উপকরণ নিবেদন করিবেন :
প্রণাম মন্ত্র - বসুদেব সুতং দেবং কংসচানুরমর্দ্দনম্
দেবকী পরমানন্দং কৃষ্ণং বন্দে জগদ্ গুরুম্
শ্রী কৃষ্ণের কাম গায়ত্রী -
ওঁ ক্লীঁ (নমঃ ক্লীঁ) কামদেবায় বিদ্মহে পুষ্প বানায় ধীমহি তন্নোহনঙ্গঃ প্রচোদয়াৎ
উপকরণ নিবেদন মন্ত্র - নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় নমঃ (বা স্ব-কৃষ্ণ মন্ত্র)
শ্রীকৃষ্ণ মন্ত্র (বীজ মন্ত্র) ১০৮ বার জপ করিবেন
উপকরণ নিবেদন মন্ত্র - নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় নমঃ (বা স্ব-কৃষ্ণ মন্ত্র)
শ্রীকৃষ্ণকে বসিবার জন্য আসন নিবেদন করিবেন
আসনঃ- ইদং আসনং নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় নিবেদয়ামি নমঃ, বলিয়া নিবেদন করিবেন
একটি সচন্দন পুষ্প হস্তে লইয়া শ্রীকৃষ্ণের ধ্যান করিয়া প্রথম পুষ্পটি নিজ মস্তকে এবং দ্বিতীয় বার ধ্যান করিয়া আর একটি পুষ্প শ্রীকৃষ্ণের প্রতিছবি বা শ্রীমূর্ত্তির চরণে অর্পন করিবেন
শ্রীকৃষ্ণের পূজার উপকরণ নিবেদন-
জল - এতৎ পাদং নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় নমঃ বলিয়া পাদ পদ্মে জল নিবেদন করিবেন, দুইবার
শ্রীকৃষ্ণের কাম গায়ত্রী পাঠ করিয়া উপকরণ নিবেদন করিবেন
অর্ঘ্যঃ- এষ অর্ঘ্যং নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় নমঃ বলিয়া অর্ঘ্য নিবেদন করিবেন
আচমণঃ- ইদমাচমনীয় জলং নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় নমঃ বলিয়া জল নিবেদন করিবেন
চন্দনঃ- এষ গন্ধঃ নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় নমঃ চরণ দ্বয়ে দুইবার ও
পুষ্পঃ- এতৎ সচন্দন পুষ্পং নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় নমঃ দুইবার ও
মাল্যঃ- এতৎ সচন্দন পুষ্প মাল্যং নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় নমঃ ও
তুলসীঃ- তুলসী ইদং সচন্দন তুলসী পত্রং নমঃ কঈ শ্রী কৃষ্ণায় নমঃ বলিয়া দুইটি বা আটটি তুলসী পত্র চিৎ করিয়া চরণদ্বয়ে নিবেদন করিবেন
ধুপঃ- এষ ধুপঃ নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় নিবেদয়ামি নমঃ ও
দীপঃ- এষ দীপঃ নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় নমঃ বলিয়া নিবেদন করিবেন
শ্রী কৃষ্ণকে ভোগের সামগ্রী নিবেদন করিবেন -
আচমন- ইদমাচমনীয় জলং নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় নমঃ বলিয়া জল নিবেদন করিবেন নৈবদ্যে ও পানীয় জলে তুলসী পত্র নিবেদন, তৎপর উভয় পাত্রে ১০ বার মূল মন্ত্র স্মরনান্তে নিবেদন করিবেন
নৈবদ্যঃ- “ইদং সঘৃত সোপকরণ আমান্নঃ নৈবেদ্যং নমঃ” ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় নমঃ বা ইদং সঘৃত সোপকরণ অন্নব্যঞ্জন নৈবদ্যং নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় নমঃ বলিয়া নিবেদন অরিবেন
পানীয় জল- ইদং পানীয় জলং নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় নমঃ বলিয়া জল নিবেদন করিবেন (ভোজনের পর আচমনীয় জল নিবেদন করিবেন )
আচমনঃ- ইদমাচমনীয় জলং নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় নমঃ বলিয়া জল নিবেদন করিবেন
তাম্বুল- এতৎ তাম্বুলং নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় নমঃ, বলিয়া দিবেন
আচমনঃ- ইদং পানীয় জলং নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় নমঃ বলিয়া জল নিবেদন করিবেন আরতি ও আরতি কীর্ত্তনাদি করিবেন-
পূজা সমাপনের সময় হস্তে একটু জল লইয়া শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে চরণে জল অর্পন করিবেন
মন্ত্র যথা- “এতৎ পাদ্যং নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় অর্পণমস্তু” বলিয়া হস্তের জল শ্রীকৃষ্ণের চরণের উদ্দেশ্যে অর্পণ করিবেন
শ্রীকৃষ্ণের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা- নমো যদক্ষরং মাত্রাহীনঞ্চ যদ্ ভবেৎ
পূর্ণং ভবতু ত্বং সর্বং ত্বং প্রসাদাৎ জনার্দ্দন
মন্ত্রহীনং ক্রিয়াহীনং ভক্তিহীনং জনার্দ্দন
যৎ পূজিতং ময়াদেব পরিপূর্ণং তদস্তুমে
শ্রীকৃষ্ণকে শয়নের জন্য শর্য্যা নিবেদন করিবেন শর্য্যাকে গন্ধ ও পুষ্পাদি দিয়া সুসজ্জিত করিবেন
প্রণাম মন্ত্র স্মরণ করিয়া শ্রীকৃষ্ণকে প্রণাম করিবেন
শ্রীকৃষ্ণের প্রণাম মন্ত্রঃ-
হে কৃষ্ণ করুণা সিন্ধো দীন বন্ধো জগৎ পতে
গোপেশ গোপিকা- কান্ত রাঁধা কান্ত নমোহস্তু তে
শ্রীকৃশ্নের প্রদক্ষিণ মন্ত্রঃ-
হা কৃষ্ণ রাধিকা কান্ত গোবিন্দ মধুসূধন
প্রদক্ষিণং করোমি ত্বাং করুনাং কুরু মাধব
শ্রীগুরু দেবতা ও শ্রীকৃষ্ণের ডাইন পার্শ্ব দিয়া প্রদক্ষিণ মন্ত্র বলিতে বলিতে কর জোড়ে চারিবার প্রদক্ষিণ করিবেন
প্রতি ফিরে সন্মুখ হইলে কর জোড়ে প্রণাম করিবেন শেষবার চরণে প্রণাম করিবেন (প্রদক্ষিণ মন্ত্র বা হরি নাম করিতে করিতেও প্রদক্ষিণ করিতে পারিবেন )
শ্রীকৃষ্ণের নিকট প্রার্থনা-
হে গোবিন্দ আপনার আপার করুণার দয়ায় এই দুর্ল্লভ মানব জনম লাভ করিয়াছি, সংসার মায়া জালে আবদ্ধ হইয়া, এই ক্ষণস্থায়ী মানবজনম বিফলে হারাইয়াছি, হে গোবিন্দ আপনি অগতির গতি পতিত পাবন, নিজ গুণে কৃপা করিয়া পতিতকে আপনার চরণে স্মরণাপন্ন হওয়ার মত শক্তি প্রদান করুণ
শ্রীকৃষ্ণের চরণামৃত লওয়ার মন্ত্র-
ওঁ অকাল-মৃত্যু-হরণং সর্ব্ব ব্যাধি-বিনাশনং
কৃষ্ণ পাদোদকং পীত্বা শিরসা ধারয়াম্যহং ||
Powered By : STN WAP
© JaiHindu.Tk 2014